সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পিরামিডের রহস্য (Mystery of the Pyramid)

 
হাজার হাজার বছর ধরে পিরামিড ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থাপনা, বর্তমান যুগের বিশাল বিশাল যন্ত্র ব্যবহার করেও এই পিরামিড নির্মাণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ
। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের সবচেয়ে প্রাচীনতম নিদর্শন পিরামিড সম্পর্কে জানবো আজকের এই পোস্টটিতে।



প্রাচীন মিশরীয় শাসকদের নাম ফারাও , পিরামিড হল ফারাওদের পুনর্জন্মের প্রবেশদ্বার। মিসরীয়রা মনে করত ফারাওরা মৃত্যুর পর মৃতদের রাজা হিসেবে শাসন করতো।ফারাওদের মৃত্যুর পর যত দিন তাদের দেহ সংরক্ষণ করা যাবে, ততদিন তারা স্বর্গে বসবাস করবে। সেজন্যই মৃত ফারাওদের দেহ পিরামিডের ভিতরের সংরক্ষণ করা হতো।



মিশরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় 80 টি পিরামিড রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পিরামিড হলো গিজা মালভূমি তে অবস্থিত খুফুর পিরামিড। এটি 4700 বছর আগে নির্মিত , খুফুর পিরামিডের আয়তন 6 টি ফুটবল মাঠের সমান, এবং উচ্চতায় 42 তালা বিল্ডিং এর মত উঁচু।


আইফেল টাওয়ার নির্মাণ এর পূর্বে ৮ হাজার বছর ধরে পিরামিড ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থাপনা। পিরামিড তৈরিতে 20 লক্ষ পাথরের ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্লগগুলো 500 মাইল দূর থেকে পিরামিডে নিয়ে আসা হয়েছে। আড়াই থেকে 50 টন এর 20 লক্ষ ব্লক মরুভূমির ভিতর দিয়ে কিভাবে নিয়ে এসেছে তা সত্যিই একটি বিস্ময় !


পাথরের ব্লগ দিয়ে পিরামিডের বাইরের দেওয়াল এবংমূল্যবান গ্রানাইট পাথর দিয়ে ভেতরের দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বাইরের ব্লগগুলোর ন্যূনতম ওজন ১ টি প্রাইভেট কারের সমান , আর ভেতরের একেকটি ব্লকের ওজন 40 টি প্রাইভেট কারের সমান। বর্তমানে সবচেয়ে বড় ক্রেন দিয়ে 10 টনের জিনিস 50 থেকে 100 মিটার পর্যন্ত উঠানো যায়। অথচ তারা এত ভারী পাথর 150 মিটার উচ্চতায় উঠিয়ে একদম নিখুঁত ভাবে পিরামিড নির্মাণ করেছে।

আধুনিক মেশিন দিয়ে পাথর কাটার সাথে পিরামিডের পাথরকাটা অনেক মিল রয়েছে। তবে বর্তমান কালের যন্ত্র দিয়েও এত নিখুঁত এবং সঠিকভাবে পাথরঘাটা সম্ভব নয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন এই আশ্চর্য সাহারা মরুভূমিতে অবস্থিত। অতীতের সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে ছিল একটি সাগর।

আপনার এই পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো তা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গঙ্গা ফড়িং (dragonfly) সম্পর্কে সকল তথ্য

গঙ্গা ফড়িং (DRAGONFLY)   আমাদের চারপাশে অনেক ধরনের পোকা মাকর আছে। যার কিছু কিছু আমাদের প্রচুর বিরক্তির কারণ হয়। কিন্তু আমরা যদি কৃতজ্ঞতার শহীত মনোযোগ দিয়ে এই পোকা গুলোর দিকে তাকাই। তাহলে আমরা দেখতে পাব সেখানে কিছু অসাধারণ পোকামাকড় রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল গঙ্গা ফড়িং। আমাদের আশেপাশেই এগুলো ঘুরে বেড়ায়। এগুলো সাধারণত জলাশয়ের পাশে পাওয়া যায়।কারণ সেখানে তারা ডিম পাড়ে এবং বংশ বিস্তার করে। গঙ্গাফড়িং ছয় মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।  কিন্তু এগুলো খুবই অসাধারণ প্রাণী। এই গঙ্গাফড়িং ডাইনোসরের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। কারণ তার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অভিযোজন ক্ষমতা। যা খুব কম প্রাণীর মধ্যে রয়েছে।আমরা আমাদের পরিবেশকে যে রূপে দেখতে পাই একটি গঙ্গাফড়িং একেবারে ভিন্ন রূপে দেখতে পারে। আমাদের চোখ পরিবেশ থেকে অল্প কিছু সংখ্যক রং-এর আলো গ্রহণ করতে পারে।কিন্তু একটি গঙ্গাফড়িং অসংখ্য রং তার চোখের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারে। সে একই সাথে সামনে এবং পিছনে দেখতে পারে। যা একটি অসাধারণ ব্যাপার। একটি মানুষ ৬০ ফেম পার সেকেন্ডে দেখতে পারে। এর মানে হচ্ছে কোনো কাজ যদি এক সেকেন্ডে সম্পাদ...

প্রজাপতি (Butterfly) বিশেষ বৈশিষ্ট্য !

 প্রজাপতি (BUTTERFLY) যেখানে প্রকৃতি মনোরম ফুলে ফুলে সাজানো। সেখানে দেখতে পাওয়া যায় প্রজাপতি । প্রজাপতি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। যা মানুষের মন আকর্ষণে সার্থক। প্রজাপতি দেখতে খুব সুন্দর হয়ে থাকে। এটি আকাশে বাতাসে কোমলভাবে ঘুরে বেড়ায়। যা দেখতে খুবই অসাধারণ! একটি প্রজাপতি সাধারণত 12 মাস বেঁচে থাকে। তার জীবন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। একটি প্রজাপতি জীবনের প্রথম অবস্থায় ডিম থেকে একটি লার্ভা বের হয়। লার্ভা বিভিন্ন পাতা খেয়ে বড় হয়। এরপর এই লার্ভা একটি নিরাপদ স্থানে গিয়ে একটি কুকুন গঠন করে। এ কুকুন একটি নির্দিষ্ট সময় পর ফেটে একটি প্রজাপতির জন্ম হয়। একটি প্রজাপতি শরীর সাধারণত দশ ভাগে বিভক্ত থাকে। প্রজাপতির মাথায় দুটি আন্টি না থাকে।এছাড়াও তার মাথায় দুটি পুঞ্জাক্ষি রয়েছে যার মাধ্যমে সে দেখতে পায়। প্রজাপতির ৬টি পা রয়েছে। একটি সুর রয়েছে যার মাধ্যমে সে ফুল থেকে মধু গ্রহণ করে। একটি প্রজাপতির উড়ার সর্বোচ্চ গতি 30 মাইল প্রতি ঘন্টা। প্রজাপতি পৃথিবীর সকল নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়। এটি বসন্তকালে বেশি দেখা যায় বাংলাদেশ এবং ভারতের। এই পোস্টটি কেমন লাগল তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানান...